ছবিঃ অন্তর্জাল, প্রতীকী
অনুবাদ: মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
মূলঃ ডি. এইচ. লরেন্স, বই- Apocalypse
‘মানুষের জন্য সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো বেঁচে থাকা। মানুষ, এমনকি ফুল, পশু ও পাখিদের জন্যও সবচেয়ে বড় বিজয় হলো সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও যথার্থভাবে বেঁচে থাকা। অজাত বা মৃতরা যা কিছুই জানুক না কেন, তারা সৌন্দর্য এবং মাংসের শরীরে বেঁচে থাকার বিস্ময় সম্পর্কে জানতে পারে না। মৃতরা পরের জীবন সম্পর্কে জানতে পারে, তবে জাঁকজমকপূর্ণ পৃথিবী ও শরীরের জীবন শুধু আমাদেরই এবং একবারের জন্য।
আমরা যেহেতু মানব শরীর নিয়ে বেঁচে আছি, সেহেতু আমাদের উচিত পরমানন্দে নৃত্য করা এবং শরীরী মূর্তিমান হয়ে মহাজগতকে ধারণ করা।
আমি সূর্যের অংশ, কারণ আমার চোখ আমারই অংশ। আমি যে পৃথিবীর অংশ, তা আমার পা খুব ভালো করেই জানে এবং আমার রক্ত জানে যে সে সাগরের অংশ। আমার আত্মা জানে যে আমি মানবজাতির অংশ এবং তা হলো বৃহত্তর মানবাত্মার জৈব অংশ, যেহেতু আমার আত্মা হলো আমার জাতির অংশ। নিজের সত্তার ভেতর আমি নিজের পরিবারের অংশ। আমার ভেতর এমন কিছুই নেই যা একাকী ও একচ্ছত্র, শুধুমাত্র আমার মন ছাড়া।
এবং এক সময় আমরা বুঝতে পারব যে মনের নিজস্ব কোনো অস্তিত্ব নেই, সেটা কেবলই জলের পিঠে সূর্যের উজ্জ্বল প্রভা মাত্র।’
নোট: Apocalypse ডি. এইচ. লরেন্সের শেষ বই। তার মৃত্যুর আগে ১৯২৯-৩০ এর শীতকালে লেখা। এ বইতে তিনি মানব সভ্যতার মৌলিক কিছু সমালোচনা করেছেন। একইসঙ্গে পৃথিবীকে স্বর্গে পরিণত করার ব্যাপারে মানুষের শক্তির প্রতি তার বিশ্বাস ও আস্থা প্রকাশ করেছেন। সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ